আঁচিল ও ক্যালাস রোগের চিকিৎসায় স্যালিটিক টিপিক্যাল সলিউশন

Salitic solution - salicylic acid & lactic acid, স্যালিটিক - স্যালিসাইলিক এসিড এবং ল্যাকটিক এসিড

উপাদান :
স্যালিটিক লিকুইড প্রিপারেশন এতে সক্রিয় উপাদান হিসেবে রয়েছে স্যালিসাইলিক এসিড বিপি ১৬.৭% এবং ল্যাকটিক এসিড বিপি ১৬.৭%

Salitic solution bangla - ফার্মাকোলজী :
স্যালিসাইলিক এসিড একটি বহুল ব্যবহৃত এবং কার্যকরী কেরাটোলাইটিক, এটি স্ট্রাটাম কনের্য়াম এর আন্ত কোষীয় সিমেন্টকে সলিউবিলাইজ করার মাধ্যমে এপিথেলিয়ামকে আলাদা করে ফেলে এবং ধ্বংস করে থাকে। ল্যাকটিক এসিড কেরাটিনাইজেশন প্রক্রিয়া কে প্রভাবিত করে এটি ক্ষয়কারক পদার্থ, যা হাইপারকেরাটোসিস কে কমানোর মাধ্যমে হাইপারকেরাটোটিক টিস্যুকে ধ্বংস করে এটি সঠিক এবং নির্ভুল ওষুধ প্রয়োগে সহায়তা করে, এর পাশাপাশি এটি শুকিয়ে যাবার পর একটি পাতলা আবরণ তৈরী করে টিস্যু থেকে পানি শুষে নিতে এবং সক্রিয় উপাদান গুলোর অনুপ্রবেশে সহায়তা করে।

salicylic acid & lactic acid used - নির্দেশনা :
আঁচিল ও দেহের ভিবিন্ন অংশে করণ (কড়া পরা) এবং ক্যালাস রোগের চিকিৎসায় স্যালিটিক টিপিক্যাল সলিউশন নির্দেশিত।

রোগীর জন্য তথ্য.......
আঁচিল : আঁচিল হলো চামড়ার উপরে এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ, আঁচিলের রোগ জীবাণুর আক্রমণ ঘটতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লাগতে পারে, মৃত চামড়ার সাথে আঁচিলের সংস্পর্শের মাধ্যমে আঁচিল ছড়াতে পারে।
করণ(কড়া) :
কর্ণ হলো চামড়ায় ছোট্ট, শক্ত জায়গা যা আশেপাশের চামড়ার চেয়ে অনেক সময় হলদেটে দেখায় , এটি সাধারণত ঘর্ষণ বা চাপের ফলে কর্ণ হয়ে থাকে।
ক্যালাস (কড়া) :
ক্যালাস হলো বেশি জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পরা রুক্ষ পুরু চামড়া, এটি দেখতে কর্ণের মতো হলেও চাপ্টা ধরন এবং চামড়ার দাগের দ্বারা এটিকে কর্ণ থেকে আলাদা করা যায়, এটিও কর্ণের মতোই বারবার এবং প্রতিনিয়ত ঘর্ষণ ও চাপের ফলে হয়ে থাকে।

Salitic - স্যালিটিক

ব্যবহার বিধি
:
Salitic solution  বোতলের ক্যাপ খুলুন এবং ব্রাশ এপলিকেটরের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান ,স্যালিটিক ব্যবহার শুরু করার পূর্বে আগে থেকে লাগানো ক্যাপটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খুলুন এবং ফেলে দিন। এরপর সতর্কতার সাথে আপনার শরীর থেকে দূরে নিয়ে বোতলে লাগানো প্লাগটি এমন ভাবে খুলুন যেন ভিতরের তরল আপনার চোখে মুখে না ছিটে আসে, প্লাগটি ফেলে দিন এরপর কার্টনের ভিতরে পলিব্যাগের সংরক্ষিত ব্রাশ এপলিকটের ক্যাপটি দিয়ে বোতলের মুখটি লাগান।

নিয়মাবলী..........
১। আক্রান্ত স্থানটি ৫ মিনিট ধরে গরম পানিতে ভেজান
২। সতর্ক ভাবে ঝামা পাথর অথবা শিরিস বোর্ড দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ঘষুন, এরপর তোয়ালে দিয়ে ভালো ভাবে মুছে নিন
৩। সরবরাহকৃত ব্রাশ এপলিকেটরের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে স্যালিটিক প্রয়োগ করুন যেন তা আশেপাশের ভাল চামড়ায় না লেগে থাকে
৪। খুব ভালো ভাবে শুকিয়ে নিন, আক্রান্ত স্থান যদি বড় হয়ে থাকে তাহলে সক্রিয় উপাদান গুলো ভালভাবে অনুপ্রবেশের. জন্য মেডিক্যাল প্লাস্টার বা ফাস্ট্ এইড ব্যান্ড দিয়ে ঢেকে নিন
৫। প্রতিদিন একবার করে চিকিৎসা পদ্ধতি চালিয়ে যেতে থাকুন যতদিন না পর্যন্ত আক্রান্ত স্থানটি পুুরোপুরি মুছে যায় এবং চামড়ার রেখা গুলো পুনরায় ফিরে আসে অথবা কর্ণ (কড়া) টি পুরোপুরি দূর হয়ে

salicylic acid & lactic acid side effects - পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
স্যালিটিক ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব কম, এটি ব্যবহারের ফলে চামড়ার এলার্জি, ফুসকুড়ি, চামড়া উঠা, জ্বালা পোড়া, চুলকানি, ফুলে উঠা, প্রদাহ, অতিরিক্ত চামড়া বৃদ্ধি, ফোসকা এবং প্রয়োগস্থানে সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে

সতর্কতা ও সাবধানতা :
স্যালিটিক (salitic) তৈরী করা হয়েছে নিয়ন্ত্রিত কেরাটিন ধংষ করার জন্য তাই শুধু মাত্র আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে, ডায়াবেটিস অথবা ইমপেয়ারড সারকুলেশন থাকে তাহলে মুখে নিম্নাঙ্গে ব্যবহার করবেননা, তিল জন্মদাগে বা অস্বাভাবিক চামড়া বৃদ্ধির উপর ব্যবহার করা যাবে না,
শুধুমাত্র আঁচিলের উপরে প্রয়োগ করে ব্যবহার করতে হবে ।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালীন :
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদান কালে স্যালিটিক ব্যবহারে কোনো বাধা নেই।

Salitic solution price in Bangladesh - মুল্য : ২৫০ টাকা
প্রস্তুতকারক : ziska pharmaceuticals ltd

Post a Comment

0 Comments